“আসসালামু আলাইকুম, স্যার।
গত দু’দিন আগে একটা পাবলিক গ্রুপে একজন অপরিচিত মুসলমান ভাই একটি সুন্নত সম্পর্কে রেফারেন্স চেয়েছিলেন। আমার সেটি জানা থাকার কারণে আমি রেফারেন্স উল্লেখ করে কমেন্ট করি। পরে ওই ভাই আমার কমেন্টের রিপ্লাইয়ে এটা বলে দেয় যে, “দর্শন পড়েও হাদীসের রেফারেন্স নোট করেন?” আমি জবাবে বলি, “দর্শন আর ইসলাম সাংঘর্ষিক নয়। দর্শন নাস্তিকতা শিক্ষা দেয়, অনেকের এই ধারণাটি সঠিক নয়।” পরে ওই ভাই আমাকে আর কোনো প্রশ্ন করেনি।
আমার মতে, কোনো কিছুকে বিশ্বাস করে তার পক্ষে যুক্তি দেওয়া (reason to believe) হলো philosophy। যুক্তি মেনে নিয়ে কোনো কিছু বিশ্বাস করা (reason for believing) হলো knowledge। আমরা মুসলিমরা আল্লাহকে বিশ্বাস করি। তাই কেউ আল্লাহর অস্তিত্ব সম্পর্কে প্রশ্ন করলে সেটার পক্ষে যুক্তি দেই। এমনটা নয় যে আল্লাহর অস্তিত্বের পক্ষে যুক্তি আছে বলেই আল্লাহকে বিশ্বাস করি। তাহলে তো philosophy-র ভাষায় আল্লাহ তায়ালা জ্ঞানের বিষয় হয়ে যায়। তাই নয় কি?
philosophy নাস্তিকতা শেখায় বলে আমার মনে হয়নি। আমি আমার বিভাগে কোনো নাস্তিকও খুঁজে পাইনি।
স্যার, সারকথা হলো— ‘দর্শন ও নাস্তিকতা’ নিয়ে কেউ প্রশ্ন করলে আমার যুক্তি কী হবে? জানতে চাইছি।”
প্রশ্নকারী চবি দর্শন বিভাগের একজন স্টুডেন্ট।
আমার উত্তর:
তোমার চিন্তাধারা ঠিকই আছে। আল্লাহর রহমতে বিষয়টাকে তুমি সঠিকভাবে বুঝতে পেরেছ বলে দেখতে পাচ্ছি।
আমাদের অস্তিত্ব সংক্রান্ত তথা জীবন ও জগত সংক্রান্ত মৌলিক প্রশ্নগুলোর যে ধরনের দর্শনসম্মত জবাব হতে পারে, তার একটা সুনির্দিষ্ট ধরন হলো Islamic monotheism। সেই হিসেবে ইসলাম হলো দর্শনসম্মত একটি মতাদর্শ ও জীবন ব্যবস্থা।
ফিলোসফির সবগুলো যুক্তি এবং অবস্থান শুধু এটির পক্ষে— এমন কোনো মতাদর্শ ও জীবনব্যবস্থা হতে পারে না।
দর্শন যুক্তি দিয়ে বিকল্পগুলো আমাদের সামনে তুলে ধরে। ব্যক্তি মানুষ হিসেবে আমরা তার মধ্য থেকে নিজেদের কাছে যেটাকে উত্তম মনে হয় সেটাকে গ্রহণ করি।
তুই তো নিজে মৌলবাদী, তোর বিভাগে নাস্তিক আসবে কীভাবে
স্যর কত সুন্দর করে বললেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
Reading your article made even an atheist like me say “Oh God” 😂😂